ঢাকা, শুক্রবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৯:১২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতি গর্ব করবে : প্রধান উপদেষ্টা তলবের ১০ মিনিটেই হাজির জেডআই খান পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা ‘পরিবেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’

পোষা প্রাণীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হোটেল 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৫ পিএম, ১১ জুন ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত  

ছবি: সংগৃহীত  

মানুষের অবকাশ যাপনের জন্য অনেক আগেই গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল। এসব হোটেলে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় কাটিয়ে মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। প্রাণীর অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হোটেল। কথাটি শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। মূলত প্রাণীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই আমরা বিড়াল, কুকুর, পাখি পুষি। তবে এসব প্রিয় প্রাণী নিয়ে ‘বিড়ম্বনায়’ পড়তে হয়, যখন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যেতে হয়। কেননা মানুষের সহযোগিতা ছাড়া পোষা প্রাণীর দিনযাপন কষ্টকর। এসব বিড়ম্বনার অবসানে রাজধানীতে চালু হয়েছে পোষা প্রাণীর আবাসিক হোটেল।

রাজধানীতে এমন আবাসিক হোটেল রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি। যেখানে টাকার বিনিময়ে পোষা কুকুর-বিড়ালের যত্ন নেওয়া হয়। বিড়ালের জন্য দিনে খরচ কমপক্ষে নয়শো আর কুকুরের জন্য লাগে অন্তত ১৭ শো টাকা। এখানে পোষা প্রাণীরা পাচ্ছে নতুন বন্ধু, মালিকের মাথাব্যথাও কমেছে। সারি সারি কেবিনে আদুরে বিড়ালেরা। এটি কোনো পেট শপ নয়। বলা চলে, পোষা প্রাণীদের আবাসিক হোটেল।  

রাজধানীতে সাময়িক সময়ের জন্য কুকুর বা বিড়াল রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ফসটার হোমগুলোতে। এমনই একটি জায়গা, ফারিঘর। কেবিনে দেখা গেল সিম্বা, মম, টাইফুন, লুকি নামের বিড়ালগুলোকে। ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকা ছেড়েছেন তাদের অনেকেই পোষা কুকর-বিড়াল এখানে রেখে গেছেন। 

ফারিঘর গুলশান শাখার জিএম কাজী জীহাদ উল্লা দাস্তগীর বলেন, সিকিউরিটি লক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পুরো ঘরটি, ফলে এখানে থেকে কোনো বিড়াল হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একদিন থেকে যদি ছয় দিন হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিনের খরচ ৯০০ টাকা হয়ে থাকে। দিন যত বাড়বে, টাকা সে অনুপাতে কমতে থাকে।

জানা যায়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কুকুর ও বিড়ালের জন্য রয়েছে আলাদা বিছানা ও টয়লেট। খেলার জায়গা ও বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে। যারা পোষা প্রাণী রেখে যান, তারা ভিডিওকলে দেখতেও পারেন।  

বেসরকারি চাকরিজীবী খান মনসুরুল রহমান বলেন, আসলে পোষা প্রাণীকে আমাদের সন্তানদের মতোই লালন-পালন করি। আর এখানে সবকিছুই আত্মবিশ্বাস দেয় আমাকে। যার কারণে এখানে রাখা।

উদ্যোক্তারা পোষা প্রাণীর আবাসিক হোটেলকে বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন বলে মনে করেন। এতে প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালবাসাও বাড়ে।

হোটেলে রাখার বিভিন্ন শর্তের মধ্যে একটি শর্ত হচ্ছে কুকুর, বিড়ালের টিকা দেওয়া থাকতে হবে। এ শর্ত মানুষকে টিকার বিষয়টিতেও সচেতন করছে। এছাড়াও আগেভাগে বুকিং দিতে হবে। যতদিন রাখা হবে, ততদিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবারও দিয়ে যেতে হবে। মালিকের ভোটার পরিচয়পত্রের ফটোকপি রাখা, জরুরি যোগাযোগের নম্বর রাখাসহ বিভিন্ন সতর্কতা মানা হচ্ছে।